বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৭

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা যে ভাবে দেহ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে [Don`t Miss it]

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা যে ভাবে দেহ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে [Don`t Miss it] বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা যেভাবে জড়িয়ে পড়ছে দেহ ব্যবসায় – নাম রুপালি (ছদ্মনাম) । ২০১৪ সাল । লেখাপড়া করেন রাজধানীর একটি কলেজে । অনেক আশা আর স্বপ্ন নিয়ে লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে বাবা-মা পরিবার পরিজন ছেড়ে গ্রাম থেকে চলে আসে ঢাকায় । রাজধানীর আজিমপুরে একটি বাসায় জায়গা হয় রুপালির । অজানা জায়গাতে বেশ মানিয়ে নিতে কষ্ট হয় তার । তারপরও পার হতে থাকে দিন । নিজের কলেজ আর রুম ছাড়া কিছুই চিনে উঠতে পারেনি রুপালি । দিন আসে দিন যায় রুপালি আস্তে আস্তে পরিচিত হয় অনেকের সাথে । এই পরিচয় হওয়ায় হয়তো কাল হয় রুপালির জীবনে । রুপালির পরিচয় হয় এক আন্টির সাথে (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) । আন্টি রুপালির ঢাকার প্রতিবেশি । আন্টির স্বামী অনেক আগেই মারা গেছেন । আন্টির আপন বলতে একটা মেয়ে, বিয়ে হয়েছে কয়েক বছর আগে । এখন শুধু বাসায় আন্টি নিজেই থাকেন । কাজকর্ম বলতে তেমন কিছুই না শুধু এই মেয়েদের রুম ঠিক করে দেওয়া আর তাদের বাজার করে দেওয়া । এ থেকে যা পায় তা দিয়ে চলে যায় আন্টির সংসার । কিন্তু আন্টির এই পেশার বাইরে আরেকটা পেশা রয়েছে, ‘কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের টাকার লোভ দেখিয়ে খদ্দেরের কাছে পাঠানো’ । ওখান থেকে বেশ মোটা কমিশন পান তিনি । এক ছাত্রী যদি রাতে খদ্দেরের সাথে থাকে তাহলে ছাত্রী পায় ১ হাজার টাকা আর আন্টি পায় ৫শ টাকা । এই ভাবেই চলে আসছে আন্টির পুঁজিবিহীণ ব্যবসা । রুপালিও আন্টির সহজ সরল মন গলানো ফাঁদে পা দেয় । আর নিজের সর্বনাশ ডেকে আনে । পাঠক লেখাটা সম্পূর্ণ গোপনীয়তার সাথে প্রকাশ করা হচ্ছে । নাম ও পরিচয় সব কিছুই গোপন রাখা হচ্ছে । হাজারও মেয়ে এই সরলতার ফাঁদে পা দিয়ে নিজের জীবন নষ্ট করছে । তাদের সতর্ক করার উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হচ্ছে খবরটি । রুপালি রিপোর্টারকে শর্তশাপেক্ষে এই নির্মম লালসার শিকার হওয়ার কথা জানাই । রুপালির ভাষ্যমতে, ‘আমি যখন ২০১৪ সালে ঢাকা আসি আমি কিছুই চিনতাম না । আমাকে একটা রুম ঠিক করে দেয় আমার পরিচিত এক বড় আপা । আমি সেখানে উঠি । কয়েক মাস যাওয়ার পর আমার সাথে এক আন্টির পরিচয় হয় । আমি জানতাম না আন্টি মেয়েদের নিয়ে ব্যবসা করে । একদিন আমার কিছু টাকা দরকার হয় । বাড়ি থেকে পাঠাতে দেরি করে বাবা । আমি আন্টিকে বলি তখন আন্টি আমাকে বলে একজনের কাছে গেলে তোমাকে টাকা দিতে পারে । আমি জানতে চাইলে আমাকে বলে তুমি কি রাতে থাকতে পারবে । আমি জানতে চাইলে সে বলে রাতে একজনের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে হবে । আমি রাজি না হয়ে চলে আসি । কিন্তু আমার টাকাটা কলেজের জন্য জরুরী হয়ে উঠে । আমি চিন্তায় পড়ে যায় কি করবো । কয়েকদিন যাওয়ার পর আন্টি আমাকে ডাক দেয় এবং বলে অনেক মেয়েরা এমন করে আর এই কথা কেউ জানবে না । বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে কেন বাবাকে কষ্ট দিবা তার থেকে যদি এখান থেকে লেখাপড়া খরচ হয়ে যায় সেটাই তো ভালো । আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই যেন আন্টির কথাতে সাই দিয়ে ফেলি । প্রথম সেই রাতে আমার রুমে একজনকে আন্টি পাঠায় আমার অনেক ভয় করছিলো । তার পর আমি আর কিছু বলতে পারবো না । এরপর কিছুদিন যাওয়ার পর আমাকে আবার প্রস্তাব দেয় আন্টি । আমি আর এমন কাজ করবো না বলে জানাই । কিন্তু আন্টি আমাকে ব্লাক মেইল করে । বলে তার কথার বাইরে গেলে সে বলে দিবে । এমনকি আমার কলেজে বলে দিবে । আমি জিম্মি হয়ে যাই এবং তার কথায় বাধ্য হয়ে পড়ি । এই ভাবে মাঝে মধ্যেই খদ্দের নিয়ে আসে আমার কাছে । আমার আর ভালো লাগে না এই জীবন । আমার পড়াশোনাও হয়না ঠিক মতো । এখন ভাবছি লেখাপড়া না করে কি বাড়ি ফিরে যাবো নাকি এই যন্ত্রনা নিয়ে বেঁচে থাকবো ? ************** Our Official Sites ↓ ********** Facebook page: http://bit.ly/2m1uPn Twitter : http://bit.ly/2lWXQ3g Google plus : http://bit.ly/2n50fL3 Reddit : http://bit.ly/2mi7FdP VK club: http://bit.ly/2mkTXZc Google plus community : http://bit.ly/2mXawfm Stumpleupon : http://stumble.it/2m1ATwB Thanks For Watching. Please Subscribe and Stay Tune With Us. ☺

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন