মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৭

তখন ১২ বছর, আমার শরীরটা নিলাম হয়ে গেল

তখন ১২ বছর, আমার শরীরটা নিলাম হয়ে গেল সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিদিন নানা খবরের মাঝে উঠে আসে নানা নাম। শহিদকন্যা গুরমেহর কৌরের মতো চরিত্ররা একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসেন। আবার BPL কার্ড করিয়ে দেওয়ার নাম করে রাজনৈতিক নেতার লালসার শিকার হওয়া দলিত যুবতী চার দেওয়ালেই গুমড়ে মরেন। আজও এমন একটি খবর আপনাদের সামনে তুলে ধরব যেটি শিশু পাচার, যৌন উত্‍‌পীড়ন, বিকৃতকাম ও পৈশাচিক অত্যাচারের জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ। আবার একই সঙ্গে এই খবর ঘুরে দাঁড়ানোর অসম লড়াইয়ের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। নানা খবরের মাঝে অজ্ঞাত পরিচয় এই যুবতীর জীবনকাহিনি আপনাদের চোখ এড়িয়ে গেলে একবার পড়ে দেখুন। আপনার সব ইন্দ্রিয়কে জাগিয়ে তুলবে এই ঘটনা। চলতি মাসের ১১ তারিখ Quora-য় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই যুবতী তাঁর জীবনের যে মর্মান্তিক গাথা বর্ণনা করেছেন, তা পড়লে শিউড়ে উঠতে হয়। কী লিখেছেন ওই যুবতী, দেখে নেওয়া যাক হুবহু তাঁর বয়ান…. আরও খবর: গাজর কাঁচা খাওয়ার উপকারিতা ‘আমি ১২ বছর বয়সে অপহৃত হই। ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত করতে হয় বেশ্যাবৃত্তি। সবে আমার ১২ বছরের জন্মদিন গিয়েছে। সেটাই ছিল আমার জীবনের শেষ বার্থ ডে পার্টি। বাড়ির কাছের এক পার্ক থেকে আমাকে অপহরণ করা হয়। যখন সম্বিত ফিরল, তখন মনে হল একটা ট্রাকের মধ্যে রয়েছি। আমার চোখ, মুখ, হাত-পা বাঁধা। চলন্ত গাড়ির শক্ত দেওয়ালে আছাড় খাচ্ছিল আমার শরীরটা। যখন জ্ঞান ফিরল, চোখ খুলে দেখি আমি একটা নোংরা ঘরের মধ্যে আছি। কয়েকজন মহিলা আমাকে খাইয়ে দিচ্ছেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে দিচ্ছেন। সাহায্য চেয়ে চিত্‍‌কার করতেই ওঁরা আমার মুখে বালিশ চাপা দিল। গায়ের জোরে স্তব্ধ করল আমার গলার স্বর। পরে বুঝতে পারি। প্রভূর হাতে যাতে আমায় মারধর খেতে না হয়, সেজন্যই তাঁরা আমার মুখে বালিশ চেপে ধরত। আমার ভালোর জন্যই। আমি ছিলাম একেবারে কচি। তাই আমাকে একটা ডিলাক্স রুমে রাখা হয়েছিল। এক বিশাল বাংলোর শেখের কাছে বিক্রি করা হল আমার ভার্জিনিটি। বেশ কিছুদিন বা কয়েক সপ্তাহ ধরে তার লালসার শিকার হলাম। আমার থেকে সবকিছু নিংড়ে নেওয়া যখন শেষ, তখন শুরু হল শেখের সহযোগী, বন্ধুবান্ধবদের অত্যাচার। তাও চলল বেশ কিছুদিন। ওই ডিলাক্স রুমটার বিছানায় আমি অনন্তকাল পড়ে থাকতাম। লোকেরা আসত। যা প্রাণে চায় আমার সঙ্গে করত। আমার ঘুম আসত না। কখনও মানসিক যন্ত্রণায়। কখনও শারীরিক কষ্টে। একেক সময় তো আচমকা ঘুম ভেঙে যেত। দেখতাম, কোনও একজন ততক্ষণে আমার ভেতরে ঢুকে পড়েছে। কখনও কখনও ডাক্তার আসত। আমার হাইমেন মেরামত করতে। আমার পরিষ্কার মনে আছে। ডাক্তার আসার অর্থই হল, আমাকে ফের ভার্জিন হিসেবে বিক্রি করা হবে অন্য কোনও শেখের বাংলোয়। ************** Our Official Sites ↓ ********** Facebook page: http://bit.ly/2m1uPn Twitter : http://bit.ly/2lWXQ3g Google plus : http://bit.ly/2n50fL3 Reddit : http://bit.ly/2mi7FdP VK club: http://bit.ly/2mkTXZc Google plus community : http://bit.ly/2mXawfm Stumpleupon : http://ift.tt/2ovVCKG Thanks For Watching. Please Subscribe and Stay Tune With Us. ☺

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন